অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি-জেনারেল হলেন ভারত সরকারের সর্বোচ্চ আইনী কর্মকর্তা(Highest Officer of law )।
নিয়োগঃভারতীয় সংবিধানের 76 নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করেন।
যোগ্যতাঃ
- ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
- ৫ বছর হাইকোর্টের বিচারপতি হতে হবে অথবা ১০ বছর হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হতে হবে।
কার্যকাল
- অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যকালের মেয়াদ রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে।
কার্যাবলীঃ
- সরকার ও রাষ্ট্রপতিকে আইনী পরামর্শ দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল দায়বদ্ধ।
- প্রয়োজন অনুযায়ী হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে ভারত সরকারের হয়ে ওকালতি করতে পারেন।
- ভারতীয় সংবিধানের ১৪৩ নং ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে যে কোনও বিষয়ে পরামর্শ চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
অধিকার ও সীমাবদ্ধতাঃ
- ভারতের যেকোনো আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারেন(Right to audience in any Court of Law)।
- সদস্য না হয়েও সংসদের যেকোনো কক্ষের কার্যাবলীতে অংশ গ্রহণ করতে পারেন।
- সংসদে কোন ভোটাধিকার নেই।
- ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে পারবেন না।
- সরকারের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন সংস্থার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
- অ্যাটর্নি জেনারেলকে সাহায্য করার জন্য সলিসিটার জেনারেল ফর ইন্ডিয়া নিয়োগ করা হয়।
- ভারতের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন এম. সি. শেতলাভাদ।